Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ মার্চ ২০২১

ওজোপাডিকোতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ পালন।


প্রকাশন তারিখ : 2021-03-17

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি: (ওজোপাডিকো) এ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন উপলক্ষ্যে সংস্থার আওতাধীন সকল দপ্তর ভবনে সকালে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। সকাল ৮:০০ ঘটিকায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাংলাদেশ বেতার খুলনায় অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পূস্পস্তবক অর্পন করা হয়। জোহর বাদ ওজোপাডিকো’র ২১ জেলায় অবস্থিত সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া ও মিলাদ শেষে ভাসমান ও ছিন্নমূলদের মাঝে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: শফিক উদ্দিন উন্নতমানের খাবার বিতরণ করেন। ৪:০০ ঘটিকায় ওজোপাডিকো হাই স্কুলে ছাত্রদের মধ্যে চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্ববোধক গান এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের উপর প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয় এবং ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: শফিক উদ্দিন বিজয়ী প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।  সন্ধা ৬.৩০ ঘটিকায় জনসমাবেশ ব্যাতিরেকে আতশবাজি ফুটানো হয়। সন্ধা ৭:০০ ঘটিকায় ওজোপাডিকো ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান প্রকৌশলী, এনার্জি, সিস্টেম কন্ট্রোল এন্ড সার্ভিসেস জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: শফিক উদ্দিন, জনাব রতন কুমার দেবনাথ এফসিএমএ, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ), প্রকৌশলী মো: আবু হাসান, নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ওজোপাডিকোতে কর্মরত সকল পর্যায়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ স্বত:স্ফুর্তভাবে উক্ত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, এখনও কোন নির্জন দুপুরে কিংবা গভীর রাতে একাকী অবস্থানকালে শুনতে পাই সেই বজ্রদীপ্ত কন্ঠস্বর ‘‘মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’’ আর হৃদয়ে সাড়া জাগায় সেই গান ‘‘শোন একটি মুজিবের থেকে লক্ষ মুজিবের কন্ঠস্বরে ধ্বনি প্রতিধ্বনি।” ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তাঁকে আমরা আরও কাছে পেয়েছি। ১৯৫৪ সালে তিনি আমাদের মাঝে অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছিলেন রাজনীতির মাঠে। তিনি স্বশরীরে আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। তবে ৫২ তে কারাগারে থেকেও তিনি ছিলেন মিছিলের পথসভায়। যে নির্বাচনে মুসলিম লীগকে একটি বাতিল রাজনৈতিক দলে পরিণত করে বাঙ্গালী জাতিসত্ত¡ার উন্মোচন ঘটেছিল। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা যখন বাঙ্গালিদের উপর নিপিড়ন নির্যাতন শুরু করে, বাঙ্গালির মুখের গ্রাস কেড়ে নিতে থাকে তখন তাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আন্দোলনের মাধ্যমে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান এক বৈশম্যমূলক শিক্ষানীতি আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। সেই বৈশম্যমূলক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সফল নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর ৬ দফা ঘোষণা করলেন। ৬ দফার সমর্থনে সারা দেশে শুরু হলো এক অভূতপূর্ব জাগরণ। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানীরা তাদের প্রতিহিংসায় পরিণত করে যার ফলশ্রæতিতে কারাগার নিক্ষেপ করে। কিন্তু তাতে বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য বা আদর্শ, তাঁর একনিষ্ঠ সংগ্রাম দেশ ও মানুষকে নিয়ে তাঁর ভাবনা ও স্বপ্ন একচুলও বিচলিত হয়নি। ১৯৬৯ এর গণজাগরণ তাঁকে সামরিক কারাগার থেকে মুক্ত করার মাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র মানচিত্র। প্রধান অতিথি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর এ অবগান শুধুমাত্র আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবেনা। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ওজোপাডিকো’র বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আরো ডিজিটালাইজড করে দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে হবে। পরিশেষে সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। আলোচনা সভার সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জনাব মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।