গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দাপ্তরিক কাজে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনয়ন ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ (ওজোপাডিকো) এর গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধিসহ দাপ্তরিক কাজে আরও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ শফিক উদ্দিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে অদ্য ০৭/১২/২০২০ তারিখ খুলনার একটি সেন্টারের সভাকক্ষে ওজোপাডিকো ও রিভারি পাওয়ারের মধ্যে ওজোপাডিকোর ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে একটি মডেল উপকেন্ত্র নির্মান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, এ বৈশ্বয়িক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন জনগণ এখন তার শতভাগ সুফল ভোগ করছে। তার প্রমান হিসেবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীগণ অনলাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তদ্রুপ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিতসহ সকল প্রতিষ্ঠান জুম মিটিং এর মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ করোনা কালীন সময়ে জনগন শতভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা উপভোগ করছে। এর ফলে আমাদের দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতাও অব্যাহত আছে। একারণে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁরই সুযোগ্য পুত্র এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এবং বিজ্বাখস মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব নসরুল হামিদ এমপি-কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব ছিলনা। বর্তমানে বাংলাদেশের শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভূক্ত। তিনি আরও বলেন যে, ওজোপাডিকো ইনোভেশন শোকেচিং প্রতিযোগিতায় ২০১৮ সালে ২য় স্থান এবং ২০১৯ সালে ৩য় স্থান লাভ করে এছাড়া ই-নথিতে বড় ক্যাটাগরীতে ওজোপাডিকো ১ম, ২য়, ৩য় স্থান দখল করে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, একটি মডেল উপকেন্ত্র নির্মান এর মাধ্যমে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কোম্পানিকে আরও উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হবে এবং সম্মানিত গ্রাহকগণকে আরও উন্নত সেবা প্রদান করে কোম্পানির ভাবমূর্তি উজ্জল করতে হবে। উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) জনাব রতন কুমার দেবনাথ এফসিএমএ, নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) জনাব মোঃ আবু হাসান, প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কোম্পানি সচিব জনাব আবদুল মোতালেব এফসিএমএ এছাড়াও রিভারি পাওয়ারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিশেষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সকলের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।